সাহায্য নয় সাবলম্বী করাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উদযাপন শীর্ষক আলোচনায়।
এসো সচেতন হই সোসাইটি এর উদ্যোগে আজ আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস এবং গিভেন টুইসডে দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা, ফ্রি চক্ষু পরীক্ষা ও চোখের চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।এতে সিনিয়র অপটোমেট্রিস মোঃ মাহবুবুর রহমান চক্ষু রোগীদের চোখের চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন।
আজ ৩রা ডিসেম্বর ৩৩ তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস এবং ২৬ তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালিত হয়েছে । কেননা ১৯৯২ সাল থেকে এই দিবসটি জাতিসংঘের তত্তাবধানে পালিত হয়ে আসছে , ১৯৯৯ সাল থেকে জেলা সমাজসেবা কার্যালয় এর উদ্যোগে জাতীয় ভাবে দিবসটি পালিত হচ্ছে।
এ বছরের দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য
অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ
বিকশিত নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে প্রতিবন্ধী জনগণ।
আলোচনা অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন এসো সচেতন হই সোসাইটি এর চেয়ারম্যান সমাজকর্মী ও জনস্বাস্থ্যবিদ মাজাহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ করতে প্রতিবন্ধী জনগণকে স্বাবলম্বী করতে হবে এর জন্য এসো সচেতন হই সোসাইটি কাজ করছে। সরকারি এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাদের প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সক্ষমতা সাপেক্ষে স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ নিতে হবে। তাদেরকে কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে এবং মূল স্রুত ধরার শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে অন্তর্ভুক্ত করে বিকশিত নেতৃত্বে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
উক্ত আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি রবিউল ইসলাম রবি, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ভাই বোনেরা, উপস্থিত জনসাধারণ ও এসই এর প্রতিনিধিগণ।
সমাজকর্মী মাজহারুল ইসলাম বলেন হিজড়া জনগোষ্ঠীদের প্রতি রয়েছে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি গত বাঁধা। বৈচিত্র্যময় এই হিজড়া জনগোষ্ঠী সমাজে প্রতিবন্ধকতার বা বাঁধার শিকার। উনি মনে করেন, ওনারা পিছনে পড়া জনগোষ্ঠী নয় বরং সমাজ ব্যবস্থাই তাদের পিছিয়ে রেখেছে। তাই তাদেরকেও তিনি যৌন প্রতিবন্ধী (ইন্টার সেক্স) হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি মনে করেন তাদের প্রতি দৃষ্টি ভঙ্গিগত বাঁধা এবং প্রাতিষ্ঠানিক যে বাঁধা রয়েছে তা দূর করতে পারলে এই জনগোষ্ঠীও সমাজের জন্য মানব সম্পদে রূপান্তরিত হবে।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রয়োজন সাপেক্ষে সহায়ক উপকরণ বিতরণ করা হয়।